লইট্টা মাছের শুঁটকি
আমাদের এই দেশ সুস্বাদ শুঁটকি মাছের জন্য অনন্য। আমাদের দেশে বহুল নদ-নদী, খাল-বিল, হাওড়ে বিপুল পরিমাণে ছোট বড় মাছের সমারহে গড়ে ওঠেছে স্থানীয় ছোট-বড় শুঁটকি মাছের আঁড়ৎ। এসব শুঁটকি মাছের আঁড়ৎ এ নানা প্রজাতির মাছের শুঁটকি পাওয় যায়। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের বিখ্যাত শুঁটকি ত আছেই। যেমন- লইট্টা মাছের শুটকি, সাগরের চাপিলা মাছের শুঁটকি, সুরমা মাছের শুঁটকি, ট্যাংরা মাছের শুঁটকি, পুঁটি মাছের শুঁটকি, চিংড়ি মাছের শুঁটকি, কাছকি মাছের শুঁটকি, বাইম, মলা, বইচ্যা, ফাৎরা, ইলিশ, রূপচাঁদাসহ হরেক রকম মাছের শুঁটকি।
শুঁটকিতে প্রায় সব ধরনের অ্যামাইন এসিড ছাড়াও মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন- আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়োডিনও আছে প্রচুর পরিমাণে। শুঁটকির মধ্যে চিংড়ির শুঁটকিতে আয়রনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে।
- অনেক মানুষ আছেন যারা প্রোটিন বা আমিষের অভাবজনিত নানা সমস্যাতে ভুগে থাকেন। তারা যদি নিয়মিত বিভিন্ন মাছের শুঁটকি গ্রহণ করে থাকেন তবে এই ঘাটতি খুব সহজেই পূরণ করা সম্ভব।
- শুঁটকিতে থাকা ভিটামিন ‘ডি, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস মানবদেহের হাড়, দাঁত এবং নখের গঠনের জন্য অপরিহার্য উপাদান।
- নিয়মিত শুঁটকি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত শুঁটকি খেয়ে অভ্যস্ত তাদের সহজে জ্বর, সর্দি হয় না।
- শুঁটকিতে আয়োডিনের মাত্রা বেশি থাকায় বিভিন্ন ধরনের হরমোনাল সমস্যা দূর করতে এবং দেহে রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে।
- বাড়ন্ত শিশুদের জন্য শুঁটকি ভীষণ উপকারী। তবে সবাই হজম করতে পারে না। আপনার শিশুর হজমশক্তি বুঝে, প্রথমে অল্প করে খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন।
- তাজা মাছের তুলনায় শুঁটকিতে খনিজ লবণের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফেরাস, আয়রন উল্লেখযোগ্য।
উল্লেক্ষ্য যে, যাদের, বাতের সমস্যা এবং কিডনি রোগ আছে তারা শুঁটকি পরিহার করবেন এবং যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা শুঁটকি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা শুঁটকি সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় প্রচুর লবণ দেয়া হয়।
লইট্টা মাছের শুঁটকি
Customer reviews
Reviews
There are no reviews yet.
Write a customer review